কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের উটখাড়া সাববাড়ী থেকে বামনিশাইর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সরকারী খাল কেটে মাটি ভরাট ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে৷
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল চেষ্ঠা করেও মাটি কাটাঁ সম্ভব না হলেও গত ৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে দিনে দুপুরে খাল কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি ও জমি ভরাট করে খয়রাবাদ, উটখাড়া ও বামনিসাইর এলাকার প্রায় ২০ জনের বেশি বাসিন্দা৷
সরকারি খাল বা বালুমহাল থেকে অনুমতি ছাড়া মাটি কাটলে বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে,কিন্তু কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে কোনো অনুমতি কিংবা ইজারা না নিয়ে অনায়াসে মাটি বিক্রি করেছে৷
নাম প্রকাশ্যে অনুচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েকবছর আগেও ঠিক একই কায়দায় মাটি কেটেঁ নেওয়ার চেষ্ঠা করে কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানের বাধাঁর কারনে সম্ভব হয়নি৷ বর্তমানে এক ট্রাক্টর মাটির দাম বারোশত টাকার বেশি দাম, যার কারনে বিকল্প হিসাবে খালের মাটি কেটেঁই ভরাট করে ফেলছে৷ যাদের বাড়ীর সামনে খাল তারাই কেটেঁছে৷ কেহ কোনো বাধাঁ মানে নাই৷ প্রথমে মাটি কাটাঁ শুরু করে মান্তু মিয়া পরে তার দেখা দেখি সবাই মাটি কেটেঁ টিলা তৈরী করেছে, কেউ জমি ভরাট করেছে, কেউ আবার মাটি বিক্রি করেছে৷
এ ঘটনায় জড়িত একাধিক বাসিন্দাদের সাথে কথা বলতে তাদের বাড়ীতে গেলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, যারা বে-আইনি ভাবে এই কাজটি করেছে, তাদের কে একাধিক বার বাধাঁ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা বাধাঁ অপেক্ষা করে এই কাজটি করেছে৷ খালের পাশের রাস্তাটির খুবই নাজুক অবস্থা। যে পরিমাণ মাটি কেটেঁছে ভারি বৃষ্টি হলে পুরো সড়কটি খালে ভেঙে পড়বে।
অন্যদিকে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খানঁ বলেন, বিষয়টি আমি পূর্বে অবগত ছিলাম না, এই ঘটনায় যারা জড়িত ও বানিজ্যিক উদ্দেশ্য মাটি বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷