পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদার টাকা না পেয়ে মো.ফিরোজ গাজী(৪০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর উপর অর্তকিত হামলার অভিযোগ উঠেছে সবুজ জোমাদ্দার (৩৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । ১০ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডভুক্ত খানকা এলাকা নামক স্থানে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী সবুজ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে একাধিক লোককে হুমকি দিয়ে আসছে এমনকি তাদের উপর হামলা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতা সবুজ তার দলবল নিয়ে একাধিকবার .ফিরোজ গাজী(৪০) কাছে চাঁদা দাবি করছে এবং হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন সবুজ জোমাদ্দার ফিরোজ গাজীর অধীনস্থ ছেলেদের মাছের ট্রলার ও জাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ওই জেলেদের উপর হামলা করে এতে রফিজাল মাঝি, কবির সহ আরও দুই জেলে আহত হন। মো. ফিরোজ বলেন, আমার জেলেদের উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কোনকিছু বুঝে না ওঠার আগেই সবুজ মোঃসবুজ জোমাদ্দার (৩৮), আসিম(২৮),ইয়াসিন(৩০)রিয়াজ(৩২),মনির(৩৩) রেজাউল(৩৪)মিরাজ(৩৫) নুরুজ্জামান, মোচলেম সিকদার, মোসারেফ সিকদার,,আব্বাস সহ ১৫ -২০ জনে মিলে লাঠিসোটা দিয়ে তআমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার পকেটে থাকা ৬৫০০০টাকা নিয়ে যায়। তাদের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বজনেরা আমাকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা খারাপ দেখে আমাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মো. ফিরোজ নিজেকে ওই ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান সবুজ আগে আওয়ামীলীগ করত এখন সে নিজেকে যুবদলের নেতা বলে দাবি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই তিনি( ফিরোজ) এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দলের হাই কমান্ডের সাহায্য চেয়েছেন এবং প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে ফিরোজের প্রতিপক্ষ সবুজ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, আমি এর সাথে জড়িত না ফিরোজ অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে আমার ছোট ভাই আছিম(২৫) মাছ ধরতে নিষেধ করার এক পর্যায় ট্রলার ও জাল আটকে দেয় এ নিয়ে আছিমের সাথে এর সাথে ফিরোজের জেলেদের সাথে মারামারিহয় । এতে আমার ভাইসহ কয়েজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ফিরোজের জেলের জাল ও ট্রলার তারা নিয়ে এসেছেন এমনটাই স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সবুজ। সে কোন কারণ ছাড়া জালসহ ট্রলার আটকাতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব তিনি (সবুজ) দিতে পারেন নাই।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, “চন্দ্রদ্বীপের ফিরোজ ও সবুজের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি শুনেছি কোন পক্ষ কোন অভিযোগ দেননি,
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”