ঢাকারবিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারে বিএনপি সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

Link Copied!

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেটের মালিকানা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ মুসুল্লী।
রোববার সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আবদুল আলী শেখের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৮৩ নম্বর সাব কবলা দলিল মুলে ২১ শতাংশ জমির মালিক তিনি সহ ৬জন। এর মধ্যে সাড়ে তিন শতাংশ জমির মালিক তিনি।

আবদুল আজিজ মুসুল্লি বলেন, ক্রয় সুত্রে মালিক থাকা সত্ত্বেও ২০০৮ সালে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগ নেতা ও মো. মিলন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ বারেক মোল্লা জোরপূর্বক দখল করে আওয়ামী লীগ অফিস এবং মার্কেট নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
দীর্ঘ বছর পর আমার জমি বুঝে পেতে প্রশাসন সহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
আবদুল আজিজ মুসুল্লী বলেন, “আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কুয়াকাটা পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছি। আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনো দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কোনো অবৈধ জমি দখল করিনি। একটি কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালী জেলার লতাচাপলী মৌজার এসএ খতিয়ান ১২২৭-এর আওতায় ৫১৭৮/১০০০২, ৫১৮০/১০০০৩ এবং ৫১৮৪/১০০০৪ নম্বর দাগে মোট ১৭.৫০ একর জমি রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। যার মালিকানা আরজ আলী শেখসহ সাতজনের নামে।
তিনি দাবি করেন, ১৯৯৭ সাল থেকে ওই জমিতে একটি অফিস ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে ছিলেন তিনি। মিলন কমিশনার ও বারেক মোল্লা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অফিস ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়।

পৌর বিএনপি সভাপতি বলেন, জমি পুনরুদ্ধারের জন্য সেনা বাহিনী, মহিপুর থানা এবং কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। পলাতক পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারেক মোল্লা
উপস্থিত হতে অপারগতা জানানোয় এখনো কোনো সমাধান হয়নি।
তবে আব্দুল বারেক মোল্লার পক্ষে আঃ সালাম গাজী বেল্লাল মোল্লার নামে ০৩-১০-২০২৪ খ্রিঃ তারিখের ৪৪৬৯ নম্বর একটি দলিল উপস্থাপন করেন। দলিলে দেখা যায়, তার মূল মালিকের জমির চৌহদ্দি আমার ৫৮৩ নম্বর দলিলের চৌহদ্দির উত্তর পার্শ্বে।
সেখানে ভোগদখল না করে আমার মালিকানা জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করছে।

তিনি আরো বলেন, আমার খরিদীয় জমি বুঝ পাবার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে সমাধান না পেয়ে আমার দুই ছেলে দখলমুক্ত করার জন্য ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছে। তারা আমার সাথে ভাড়া চুক্তিপত্র করতে অনাগ্রহ দেখালে ঘরে তালা মারা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে আবার তালা খুলে দেয়া হয়েছে। তার দাবী ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনজনের সাথে ভাড়া চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছেন। বাকীরাও চুক্তিপত্র করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রি মহল তার ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার লক্ষে তাঁর দুই ছেলেকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। তিনি এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমার জমি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার লক্ষ্যে আমি গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করছি।
উল্লেখ্যঃ সৈকত লাগোয়া এসব জমির মালিকানা দাবী নিয়ে সরকার বনাম পাবলিকের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত মামলা চলমান রয়েছে। এসব জমি সরকারের নামে বিএস রেকর্ড রয়েছে। ###

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।