ছাত্র- জনতার বিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার, সকল দূর্নীতিবাজ/ অর্থ পাচারকারীদের বিচার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত সহ নির্বাচনে অযোগ্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং দারিদ্রমুক্ত, সুখি সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল ) বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মোহা রায়হান উদ্দিনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মুফতী আহমদ আব্দুল জলিল, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবে সম্পাদক, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এইচ এম মোমতাজুল করীম, ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ, ঝিনাইদহ জেলা শাখা, বিশেষ বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঝিনাইদহ জেলা শাখা।
জনসভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে তারা আর বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। বিগত সরকার মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচর নিপীড়ন করেছেন তা এদেশের মানুষ কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। আর তাই তার সহযোগিদের অবিলম্বে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সাথে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি করেন তারা।
বক্তারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে ইসলামি সমাজভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান তারা। তাই ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন ও অর্থ পাচারের মাধ্যমেই তারা বিভিন্ন প্রকার অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করলে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন হবে না। আমাদের নারীরা অবাধে ধর্ষণ হবে না এবং অবৈধভাবে সম্পদ বিদেশে পাচার সম্ভব হবে না। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করলে দেশে সুশাসন ও সুষম অর্থ বন্টনের মাধ্যমে সকলকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে