সকলের মঙ্গল কামনায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা মাইনী নদীতে ফুল ভাসিয়ে ফুল বিজু পালন করলেন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। এর মাধ্যমে পাহাড়ের এই সম্প্রদায়দের মধ্যে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের আয়োজন শুরু হলো।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ওমর ফারুক পিএসসি ও তার সহধর্মিণীসহ উপজেলার মাইনী নদীর মাইনী ব্রীজ ঘাটে বৈসাবি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে হাজারো পূর্ণার্থীর উপস্থিতিতে নদীতে ফুল ভাসান। এ ফুল বিজু পালনের মাধ্যমে তারা সর্বস্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পাহাড়ী দের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিজু উৎসব পালন করছেন পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের যে আয়োজন, তারই একটি অংশ ফুল বিজু। বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জির ২৯ চৈত্র, তথা পহেলা নতুন বছর শুরুর একদিন আগে ফুল বিজুর মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা।
এ দিন খাগড়াছড়ির চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু, মাধবীলতা, রঙ্গনসহ নানা রকমের ফুল দিয়ে নদীতে গঙ্গা মায়ের উদ্দেশ্যে পূজা দেন।
এসময় আগত পূণ্যার্থীরা বলেন, গঙ্গা দেবী ও উপগুপ্ত বুদ্ধের পুজা করেন চাকমা তরুণ–তরুণীরা। নদীর পাড়ে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে প্রার্থনা করা হয়।
বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা সদস্য সমীর চাকমা বলেন, ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে আমাদের বর্ষবরণের আয়োজন শুরু হয়। এই ফুল বিজুর মাধ্যমে গঙ্গাদেবীর মঙ্গল কামনায় ও পুরানো বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই আমরা।
এর আগে দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ওমর ফারুক পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে সহধর্মিণীসহ উপস্থিত ফুল বিজু উদ্ভাবন ঘোষণার করার পর পর সকল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।