“ঝাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উঠবে জাল ভরে” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর বাউফলে আলোচনা সভা ও নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এর আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্ব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার। ওই সময় প্রধান অতিথি বলেন, ১০ ইঞ্চি অর্থাৎ ২৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘের চেয়ে ছোট ইলিশ ১লা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় দন্ডনীয় অপরাধ।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন, বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইছাহাক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আপেল মাহমুদ ফিরোজ ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ আহরণকারী জেলে সম্প্রদায়। আলোচনা সভা শেষে ৬টি নৌকা বাইচে অংশ গ্রহন করলেও জেলে কবির হোসেনের দল ১ম স্থান, সোহরাব হোসেনের দল ২য় ও মনির হাওলাদার ৩য় স্থান অধিকার করে। তাদের প্রত্যেককে ৬টি করে সিরামিকের প্লেট উপহার দেওয়া হয়। এদিকে প্রথম পুরস্কার টেলিভিশন উপহার দেওয়ার কথা থাকলেও প্লেট উপহার দেওয়ায় জেলেরা বাউফল থানায় এসে ভীর করেন অভিযোগ দিতে। বাইচে অংশ গ্রহনকারীরা জানান, তাদের টেলিভিশন উপহার দেওয়ার কথা বলায় আমরা অংশ গ্রহন করি কিন্তু ১ম পুরুস্কার সিরামিক প্লেট দিলে আমরা গ্রহন করিনি। জেলেরা আরও জানায় বাইচ শেষে জেলে রাকিব সরদার, শাহীন মৃধা, তুহিন ব্যাপারী, ইউসুফ ব্যাপারী, রাসেল খান ও রহমান শাহ অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও খোঁজ নেয়নি মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপহারের বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ঝান্টা জানান, বরাদ্ধ কম থাকায় সিরামিকের প্লেট দেওয়া হলে জেলেরা আপত্তি জানায় এবং উপহার না নিয়ে চলে যায়।