ঢাকাবুধবার , ৯ এপ্রিল ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিজের অপরাধ ধামাচাপা দিতে অপপ্রচারে লিপ্ত ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
এপ্রিল ৯, ২০২৫ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

।। জব্দকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রি করে নিজের পকেটে পড়েন কামরুজ্জামান ।।

।। তদন্তে মিলেছে প্রাথমিক সত্যতা।।

।। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে পুলিশ সুপারকে নিয়ে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার ।।

সম্প্রতি নরসিংদীতে জব্দকৃত ৯৬ কেজি মাদক বিক্রি করে আলোচনায় আসেন নরসিংদী ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি ইন্সপেক্টর এসএম কামরুজ্জামান। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি। যাতে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানসহ ৬ পুলিশ এঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন। তবে নিজের অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে তা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে জেলার পুলিশ সুপারকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান । এরআগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে জব্দকৃত মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি জেলার শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিঘর আটাশিয়া এলাকায় মনির হোসেনের লটকন বাগান থেকে পরিতক্ত্য অবস্থায় ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গাফফার। তিনি গাঁজাগুলো নরসিংদী ডিবি অফিসে নিয়ে অসেন এবং ওসি কামরুজ্জামানকে অবহিত করেন। জব্দ তালিকায় ৯৬ কেজি গাঁজার বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

ওই সময় আদালতের বিচারক জব্দকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা (মাদক) ধ্বংস করে বা পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ওসি কামরুজ্জামান গাঁজাগুলো ধ্বংস বা না পুড়িয়ে বরং গোপনে মাধবদী আলগী এলাকার মাদক কারবারি মায়া প্রধানের কাছে বিক্রি করেন। প্রতিকেজি গাঁজা ১৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। নরসিংদী পুলিশ সুপারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে নরসিংদী ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি অভিযোগের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। এছাড়াও ঘটনায় দায় আদালতের উপর চাপানোর চেষ্টা করেন।

পরে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও আরো একজনকে পুলিশ সুপার প্রথমে নরসিংদী পুলিশ লাইন্সে ও পরে তাদেরকে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করে। এঘটনার তদন্তে পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ (প্রশাসন ও অর্থ) দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাতে থাকেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভিত্তিহীন তথ্যে যা এখন সুস্পষ্ট।  জেলার সচেতন জনগণ বলছেন, সাবেক ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর তার বক্তব্য এক এক সময় এক এক রকম। তিনি ক্লোজ হবার পরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছেন। পুলিশ সুপারকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন, ক্লোজ হবার আগে কেন তিনি পুলিশ সুপারকে নিয়ে যেসব অভিযোগ তুলছেন তা প্রকাশ করেননি, ক্লোজ হবার পরে কেন তিনি এসব অভিযোগ তুলছেন?

জেলা পুলিশে কর্মরত অনেকে জানান,  পুলিশ সুপার অপরাধ দমনে অত্যন্ত কঠোর। তিনি কামরুজ্জামানের গুরুতর অপরাধ অবগত হওয়ার সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যার কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কামরুজ্জামান পুলিশ সুপারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানামুখী মিথ্যাচার ও অপ্রচারে লিপ্ত হয়।

পুলিশ সুপারকে নিয়ে কামরুজ্জামান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন যা এখন সুস্পষ্ট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছি আমরা। অভিযোগগুলো হলো তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রেরণ ও বিগত সরকারের আমলে জেলায় এসপিগিরি করতে রবিউল নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশ সুপার অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকায় ডিবির ওসিকে দিয়ে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। তার মধ্যে দুইটি সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।  যা অনুদান হিসেবে পুলিশ সুপার প্রেরণ করেন। এটাকে পুঁজি করে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান অপপ্রচারে লিপ্ত।

এসপিগিরি করতে  ঘুষ প্রদানের ব্যাপারের তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রবিউলের নামের ওই ব্যক্তির সাথে পুলিশ সুপারের এক আত্মীয়ের ব্যবসায়িক লেনদেন। যার বিভিন্ন লিগ্যাল কাগজপত্র রয়েছে।

ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানকে নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ওসি ছিলেন। চাকরি জীবনে নানা অপকর্ম করলেও তার কৌশলের কারণে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকেন তিনি। ঠিক এমনভাবে জব্দকৃত মাদক বিক্রি করার অপরাধ থাকতে কৌশল অবলম্বন করে বাঁচতে চাইছেন তিনি।

নরসিংদী জেলাতে এসপি আব্দুল হান্নানকে নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৩০ আগস্ট তিনি নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে নরসিংদী জেলার পরিস্থিতি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নরসিংদীতে যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল, পুলিশের মনোবল ছিল তলানিতে-তখন এসপি হান্নান দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি পুলিশের মনোবল ও জনগণের মধ্যে আস্তা ফিরিয়ে আনেন। অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং নরসিংদীকে সন্ত্রাস ও মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করছেন।

তার নেতৃত্বে নরসিংদীতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। অপরাধ দমনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তিনি কখনো কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেননি। বরং ঘুষখোরদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ। তার এই সততা ও দায়িত্বশীলতার কারণে তিনি এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন নরসিংদী জেলার অপরাধীদের কাছে।

নরসিংদীর একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে তারা  নির্ভয়ে পুলিশের সাহায্য নিতে পারে। আগে যেখানে পুলিশ সুপারের অফিস ছিল সাধারণ মানুষের কাছে দূরুহ, সেখানে এখন যেকোনো নাগরিক নির্দ্বিধায় তার সঙ্গে দেখা করতে পারে, কথা বলতেও পারে। এসপি আব্দুল হান্নানের মতো সৎ ও কর্মঠ পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক অনন্য উদাহরণ। তার নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে নরসিংদী আরও নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হবে। আর সেই কারণেই এমন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

এবিষয়ে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাকে ক্লোজ করার আগে পুলিশ সুপারকে নিয়ে কেন অভিযোগ তুলেনি সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়াও পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।