ঢাকাশুক্রবার , ২৮ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুয়াকাটায় জমির মালিকানা দাবীতে আওয়ামী লীগ নেতার ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিলেন বিএনপি নেতার দুই ছেলে

Link Copied!

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জমির মালিকানা দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতার ১০ টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পৌর বিএনপির সভাপতির দুই ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে সৈকত সংলগ্ন শুটকি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই ১০ দোকানের ভাড়াটিয়াদের চাপ দেয়া হচ্ছে নতুন করে ভাড়ার চুক্তির জন্য। ঈদের এই মুহূর্তে বিএনপি নেতার দুই ছেলের এমন কান্ডে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপদে পরেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে জীবিকা নির্বাহ। হুমকি দেয়া হচ্ছে জীবন নাশের।
দোকান বুঝে পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পৌর বিএনপির অন্যান্য নেতারা। তবে বিএনপি নেতার ছেলেরা দাবি করছেন এই দোকান ও মার্কেট আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ বারেক মোল্লার। নিজেকে আড়ালে রাখতে বেল্লাল মোল্লার নামে দলিল করেছে। কিন্তু ভোগদখল করছেন আঃ বারেক মোল্লা।

তালাবদ্ধ থাকা দোকানী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রায় ৬ বছর আগে বেল্লাল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা দোকানগুলো ভাড়া নেন। এসময় দোকান দেড় থেকে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করি। এত বছর ব্যবসা করে আসলেও ৫ আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের পর ওই জমি তিন ব্যক্তি দাবি করেন।এর মধ্যে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লী, রাশেদুল-আফতাব ও বেল্লাল মোল্লা। দোকানীরা এ তিন ব্যক্তিকে বসে বিষয়টি সমাধানের জন্য বার বার অনুরোধ জানান। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিষয়টি সমাধান না করে পৌর বিএনপির সভাপতির ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যু্বদলের সহ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুসুল্লী তাদের সঙ্গে দোকানীদের নতুন করে ভাড়ার চুক্তিপত্র করার  চাপ প্রয়োগ করেন। জমির মালিকানার বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় দোকানীরা রিয়াজ মুসুল্লির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করতে রাজি হয়নি। পরে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে রিয়াজ মুসুল্লী ও তার ভাই মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মু্সুল্লী সহ তাদের অনুসারীরা দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দোকানী বলেন, আমরা সবাই বেল্লাল মোল্লার সঙ্গে চুক্তিপত্র করেছি। তাকে আমাদের লাখ লাখ টাকা অগ্রিম দেয়া। আমরা রাজনীতি বুঝিনা। আমাদের সামান্য শুটকি বিক্রি করে পেট চলে। কিন্তু গতকাল রিয়াজ মুসুল্লী ও তার ভাইসহ ৮ থেকে ১০জন আমাদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তার সঙ্গে আমাদের নতুন করে চুক্তিবদ্ধ করতে বলেছে। দুইদিন পর ঈদ। রোজার একমাস কোন বিক্রি ছিলোনা, লোকসানে দিন কেটেছে। ঈদে দোকান খুলতে না পারলে আমাদের ব্যবসা লাটে উঠবে।

ওই মার্কেটের মালিক বেল্লাল মোল্লা বলেন, ১৯৯৬ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার কমিশনার মিলন মিয়ার স্ত্রী উম্মে সালমার কাছ থেকে আমি এই জমি ক্রয় করেছি। সে আমাকে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমির দলিল দিয়েছে। পরে সেখানে দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছি। দোকান তোলার সময় বা পরে ভাড়া দেয়ার সময় অন্য কেউ এ জমির মালিকানা দাবি করেনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা দোকানগুলো দখলে নিয়েছে। এর আগে মুসুল্লী বাড়ির ছেলেরা আমাকে মারধর করেছে। আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।

জমির মালিকানা দাবি করা রাসেদুল ও আফতাব বলেন, সাবেক লতাচাপলী মৌজার ১১২৭ নং ক্ষতিয়ানে ৫১৭৮/১০০২ এবং ৫১৮০/১০০৩ দাগের মালিক ৭ জন। আরজআলী, ওয়াজেদ আলী, আবদুল আলী, সোমেদ আলী, সেকান্দার আলী, সুলতান শেখ ও চান মিয়া। এসব মালিকের কাছ থেকে ৫ একর ৯৯ শতাংশ জমি লাল মিয়া ১৯৭০ সালে ক্রয় করেন। লাল মিয়ার ওয়ারিশগন ৭ মাস আগে আমাদের নামে আমোক্তারনামা দেয়। জমি বুঝে পাওয়ার জন্য অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। বর্তমানে আমাদের জমি বুঝে পাওয়ার জন্য দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী বলেন, সভাপতির দুই ছেলে জোরপূর্বক ক্ষমতা খাটিয়ে এ কাজটি করেছে। দোকানে তালা দেওয়ার পর আমি ওখানে গিয়ে রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে সে উল্টা পাল্টা কথা বলে এবং দোকানীদের ভয়ভীতি দেখায়।  এভাবে তাদের দোকানে তালা মারা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এটা আসলে দলের জন্য একটা বিপর্যয়।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মু্সুল্লীর ছোট ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সহ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুসুল্লী বলেন, এ যায়গা আমার বাবার। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। পরে দোকানীদের আমাদের কাছ থেকে ডিট নিতে বলেছি। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মুসুল্লী জানান, আমার ওই জমির বৈধ মালিকানার কাগজপত্র রয়েছে। যারা আমার সঙ্গে ডিট করেছে তাদের দোকান খুলে দেয়া হয়েছে। বেল্লাল মোল্লা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোরে ওই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিল। রাসেদুল-আফতাব ওই জমি দাবি করলেও তাদের দাগ অন্য যায়গায়। আমার দাগের মধ্যে তাদের জমি নেই।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আঃ বারেক মোল্লা বলেন, ওই মার্কেটের মধ্যে আওয়ামী লীগের অফিস রয়েছে, যা বর্তমানে বিএনপি দখলে নিয়েছে। এখন ভূয়া মালিকানা দাবী করে তার ভাতিজাকে মারধর করা হয়েছে। মার্কেটের বেশ কিছু দোকানে তালা দিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এবিষয়ে বেল্লাল মোল্লা, মহিপুর থানা, সেনাবাহিনী এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোজখবর নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ###

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।